৫৪ বছর পর আমতলীতে দৃশ্যমান শহীদ মিনার, স্মৃতিস্তম্ভ ও মুক্ত মঞ্চ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক –

দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী উপজেলা বরগুনার আমতলী। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখানে প্রথমবারের মতো দৃশ্যমান রূপ পাচ্ছে শহীদ মিনার, স্মৃতিস্তম্ভ ও মুক্ত মঞ্চ—যা বহুদিন ধরে এই এলাকার মানুষের দাবি ছিল।অভিযোগ ছিল, স্বাধীনতার এত বছর পরও আমতলীতে জাতীয় ঐতিহ্যের এসব স্থাপনা নির্মাণে তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি পূর্ববর্তী প্রশাসন। উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত ছিল এবং শিশু পার্কটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। এমন অবস্থায় ২০২৫ সালে নতুনভাবে দায়িত্ব নিয়ে দৃশ্যপট পাল্টে দিতে উদ্যোগ নেন আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রোকনউজ্জামান খান।দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম সমন্বয় সভাতেই তিনি স্থানীয় মানুষের সমস্যা, দাবি ও প্রত্যাশার কথা শোনেন। প্রতিশ্রুতি দেন—স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই পরিবর্তন সূচিত হবে। সেই প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রশাসনিক ব্যস্ততার মধ্যেও মনোনিবেশ করেন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে।এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা পরিষদের প্রাণকেন্দ্রে নোংরা ও পানিবদ্ধ এলাকাকে রূপ দেওয়া হয়েছে পরিকল্পিত পরিসরে। নতুনভাবে নির্মিত হয়েছে উপজেলা পরিষদের মিলনায়তন। সংস্কার শেষে পুনরায় শিশু পার্ক উদ্বোধন হয়েছে। এর সঙ্গে দ্রুত এগিয়ে চলছে শহীদ মিনার, স্মৃতিস্তম্ভ ও মুক্ত মঞ্চের স্থাপনা নির্মাণের কাজও।স্থানীয় নাগরিকরা বলছেন—ইউএনও রোকনউজ্জামান খান শুধুমাত্র দায়িত্ব পালনেই সীমাবদ্ধ নন, বরং মানুষের আস্থা ও অংশগ্রহণকে গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছেন। তাঁর সদালাপী আচরণ, দক্ষ নেতৃত্ব, স্বচ্ছতা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সক্ষমতা তাঁকে করে তুলেছে জনবান্ধব এবং জনপ্রিয় একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা।অনেকে মনে করছেন, তাঁর উদ্যোগ যদি অব্যাহত থাকে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা পেলে আমতলী খুব দ্রুতই রূপান্তরিত হবে আধুনিক, ঐতিহ্যসমৃদ্ধ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্রে।স্থানীয় এক প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা বলেন, “এত বছর পর আমাদের সন্তানরা শিখবে শহীদের মর্যাদা ও ইতিহাস। এই উদ্যোগ আমাদের গর্বিত করেছে।”উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে স্থানীয়দের প্রত্যাশা—কার্যক্রমের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কার্যক্রমের সমন্বয় করে আমতলীকে আলোকিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নেওয়া হবে।—

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।